ঘুমের ওপর চাঁদের প্রভাব

Photo Credit : www.pinterest.co.uk

মানুষের মনের ওপর চাঁদের প্রভাব নিয়ে শত বছর ধরে বহু কল্পিত ধ্যান-ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া বহু বছর ধরে চাঁদের সৌন্দর্য কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মের অন্যতম বিষয় হয়ে রয়েছে। আসলেই কি মানুষের স্বাস্থ্য ও আচরণের ওপর চাঁদের কোনো প্রভাব রয়েছে?

মিথলজিতে যেমনটা আছে, তেমনভাবে পূর্ণ চাঁদ কোনো মানুষকে কখনোই ওয়ারউলফে পরিণত করে না। কিছু মানুষ অবশ্য রাতের ঘুম নষ্ট, কিছু শারীরিক সমস্যা এবং মানসিক বিপর্যস্ততার জন্যে পূর্ণ চাঁদকে দায়ী করেন। এর পেছনে কি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে?
একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দল মানুষের ওপর চাঁদের প্রভাব বুঝতে গবেষণা করেন। বিশেষ করে তারা শিশুদের ঘুমের চক্রে বা শারীরিক অবস্থায় কোনো প্রভাব ফেলে কিনা তা দেখার চেষ্টা করেন।
ইস্টার্ন অন্টরিও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ ড. জিন-ফিলিপে চাপুত ভলেন, আমরা এ গবেষণা শিশুদের ওপর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তারা পরিবেশ বদলের ক্ষেত্রে অনেক স্পর্শকাতর এবং বড়দের চেয়ে তাদেরই বেশি ঘুম দরকার হয়।
৫টি মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৫ হাজার ৮১২ জন শিশুর ওপর টানা ২৮ মাস ধরে গবেষণা চলে। চাঁদের লুনার সাইকেল সংখ্যাও একই।
চাপুত বলেন, আমাদের গবেষণায় এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বলা যায়, চাঁদ মানুষের আচরণে প্রভাব ফেলে। লক্ষণীয় ফলাফল বলতে পূর্ণ চাঁদের সময় ঘুমের ১ শতাংশ বদলে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এ সময় ঘুমের সময়কাল ৫ মিনিট কমে আসে যা স্বাস্থ্যের জন্যে হুমকি নয় বলেই জানান তিনি।
সব মিলিয়ে পূর্ণ চাঁদ নিয়ে খুব চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। মানুষের আচরণ ও স্বাস্থ্যগত বিষয় জেনেটিক বৈশিষ্ট্য, শিক্ষা, উপার্জন এবং মানসিক অবস্থার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়।

ফ্রন্টিয়ার্স অ্যান্ড পেডিয়াস্ট্রিকস জার্নালে এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post