কারক ও বিভক্তি নির্ণয়ের সহজ টেকনিক |
নিম্নোক্ত কোশল গুলো একবার আত্বস্থ করতে পারলে খুব সজেই কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করা সম্ভব হবে। উদাহরন সহ প্রতিটি কারক ও বিভক্তি নিচে বর্ননা করা হলো।
কারক
➡কারক মোট ৬ প্রকার। যথাঃ
১) কর্তৃকারক
২) কর্মকারক
৩) করন কারক
৪) সম্প্রদান কারক
৫) অপাদান কারক
৬) অধিকরন কারক
কারক চেনার টেকনিক
১) কর্তৃকারকঃ কে বা কারা দ্বারা প্রশ্ন করলে , যে উত্তর পাওয়া যায় তাই কর্তৃকারক।
যেমনঃ বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়। এখানে, বাক্যে কে বা কারা দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর হয় বাঘে মহিষে।তাহলে বাক্যে কর্তৃকারক বাঘে মহিষে।
২) কর্মকারকঃ কী বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে , যে উত্তর পাওয়া যায় তাই কর্মকারক।
যেমনঃ বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়। এখানে, বাক্যে কী বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর হয় জল ।তাহলে বাক্যে কর্মকারক জল ।
৩) করণ কারকঃ যন্ত্র, উপকরন, সহায়ক ও মাধ্যম বুঝালে তা করণ কারক।
যেমনঃ এ সুতায় কাপড় হয় না। এই বাক্যে সুতা হলো একপ্রকার উপকরন। যার মাধ্যমে কাপড় তৈরি হয়। তাই সুতায় শব্দটি হলো করণ কারক।
৪) সম্প্রদান কারকঃ নিঃসার্থে কোনকিছু দান করা বা দিয়ে দেয়াকে সম্প্রদান কারক বুঝায়।
যেমনঃ সৎপাত্রে কন্যা দান করো। এই বাক্যে কন্যা নিঃসার্থভাবে জামাইয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়। তাই এখানে সৎপাত্রে শব্দটি হলো সম্প্রদান কারক।
৫) অপাদান কারকঃ কোনকিছু হতে- কোনকিছু উৎপন্ন হওয়া, ছিটকে পরা, পরে যাওয়া, ছেড়ে যাওয়া, ভয় পাওয়া, আরম্ভ হওয়া প্রভৃতি বুঝালে তা অপাদান কারক হয়।
যেমনঃ সুক্তি থেকে মুক্তো মেলে। এই বাক্যে, সুক্তি থেকে মুক্তো উৎপন্ন হওয়াকে বুঝিয়েছে। তাই বাক্যে অপাদান কারক হলো সুক্তি হতে।
৬) অধিকরন কারকঃ স্থান, কাল, পাত্র প্রভৃতি বুঝালে তা অধিকরন কারক হয়।
যেমনঃ বনে বাঘ থাকে। বনে একটি স্থান কে বুঝিয়েছে। তাই বনে শব্দটি অধিকরন কারক।
বিভক্তি
বিভক্তি ৭ প্রকার। যথাঃ
বিভক্তির নাম | বিভক্তি | উদাহরন |
---|---|---|
১মা/শুন্য | অ,০ | মোয়াজ্জিন আযান দিচ্ছে। |
২য়া | কে,রে | শিমুলকে যেতে হবে। |
৩য়া | দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক | করিম লাঠি দিয়ে সাপটিকে মারল। |
৪র্থী | নিমিত্তার্থে- কে, রে, এরে | 'বেলা যে পড়ে এলো, জলকে চল। |
৫মী | হতে, থেকে, চেয়ে | দুধ থেকে দই হয়। |
৬ষ্ঠী | র, এর | যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধে হয়। |
৭মী | এ, য়, তে | চেষ্টায় সব হয়। |
Post a Comment